মাসুদ আলম : [২] বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর পুলিশি ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে নিজ নিজ গ্রামে পাঠানো হয়েছে।
[৩] নিহতরা হলেন- ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬)। আরেকজন ট্রাফিক উত্তরের বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)।
[৪] গত ২৮ এপ্রিল শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলে এএসআই মো. আবদুল খালেককে আইসোলেশনে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝোপখালি গ্রামে।
[৫] এদিকে জ্বর থাকায় গত ২৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা পরীক্ষার জন্য কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরের দিন করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে আসোলেশনে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৯ এপ্রিল ভর্তি করা হয় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বুধবার রাত সাড়ে দশটায় মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ইন্দ্রাবাড়ি গ্রামে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
[৬] এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৩ সদস্য করোনাভাইরাসে প্রাণ হারালেন। এর আগে গত মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের (৩৯) করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমিপ) ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :