শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৯ দুপুর
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১০:১৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে হ্রাস পেয়েছে জ্বালানির চাহিদা: আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা

লিহান লিমা: [২] নতুন এক প্রতিবেদনে প্যারিস-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলেছে, করোনা ভাইরাস মহামারীকে কেন্দ্র করে পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বৈশ্বিক জ্বালানির চাহিদা ৬ শতাংশ হ্রাস পাবে। জ্বালানি চাহিদা হ্রাসের এই পরিমাণ গত ৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন । সিএনবিসি

[৩] আইইএ এর নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাতিহ বিরল বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি বৈশ্বিক জ্বালানির জন্য একটি ঐতিহাসিক ধাক্কা। অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত সংকটের সঙ্গে সঙ্গে কয়লা, তেল এবং গ্যাসের মতো প্রধান প্রধান জ্বালানির চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।’

[৪] তবে এই বছর যে জ্বালানির চাহিদা বাড়তে পারে সেটি হচ্ছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এই বছরের প্রথম অর্থবছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা ৩ শতাংশ বেড়েছে। আইইএ বলছে, এ বছর এই চাহিদা ৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়বে।

[৫] সংস্থাটি জানায়, মহামারীর কারণে জ্বালানির চাহিদায় যে ধাক্কা পড়বে তা ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও সাতগুণ বেশি। চাহিদা হ্রাসের এই পরিমাণ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানির ক্রেতা ভারতের চাহিদার সমপরিমাণ। আইইএ জানায়, প্রথম দফায় চাহিদার পরিমাণ ৩.৮ শতাংশ কমে আসবে। দ্বিতীয় ধাক্কায় এটি ৬ শতাংশের চেয়েও বেশি হবে। এবং এই বছর আইইএ এর প্রকল্পের বার্ষিক চাহিদা ৮ শতাংশ কমে যাবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম।

[৬] বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেলের চাহিদাও। লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে ৬০ শতাংশ তেলের চাহিদা প্রভাবিত হতে পারে। মার্চে বিশ্বজুড়ে একদিনে ১০.৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিলে এই চাহিদা হ্রাস পেয়ে ২৯ মিলিয়নে এসে দাঁড়ায়। যা ১৯৯৫ সালের পর তেলের চাহিদার হারের সর্বনিম্নমুখীতা। মানুষজন ঘরে থেকে অফিস করায় বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প, ফলে হ্রাস পেয়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এ বছর বিদ্যুতের চাহিদা ৫ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে যা ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সর্বনিম্ন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়