আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি: [২] মরণঘাতী ভয়াবহ করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। কবে খুলবে তা প্রায় অনিশ্চিত! সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার একশত দশটি কিন্ডারগার্টেন ও আশিটি কওমি মাদ্রাসার কার্যক্রম । ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে মানবেতর অসহায় ও বেকার জীবন যাপন করছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও শিক্ষক-কর্মচারী ।
[৩] উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় একশত দশটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও প্রায় আশিটি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। যেখানে ২০/২৫ হাজার শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর শত শত ছাত্র/ছাত্রী ভালো ফলাফল করছে।
[৪] এইসব কিন্ডারগার্টেন ও কওমী মাদ্রাসা গুলোতে কর্মরত আছেন প্রায় ১২শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতনও বন্ধ হয়েছে। বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন। ফলে ফলে কোন আর্থিক উপার্জন করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন তারা।
[৫] এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে তারা শিক্ষক হিসেবেই সম্মানীয়। ফলে তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে।
[৬] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে ঘরের ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনও নেই। ফলে না পারছি শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন দিতে।এরকম পরিস্থিতিতে আগে কখন ও পড়তে হয়নি।
[৭] স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানান, অর্থ না থাকলেও শিক্ষক পরিচিতির কারণে আমরা অন্যের নিকট সাহায্য চাইতে পারি না। কিন্তু আমাদের অনেকেরই চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। চলমান দুর্যোগে শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তা ও সেই সঙ্গে কিন্ডারগার্টেন মালিকদেরও সরকারি প্রণোদনার দাবি জানান তাঁরা। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :