শাহনাজ বেগম : [২] ডাক্তার মামুনা রানা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) ফ্রন্টলাইন কর্মী হিসাবে করোনা রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে নিজেই মরণঘাতী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বুধবার তার স্বামী ডাক্তার কুরেশি স্ত্রী রানার প্রতি মর্মস্পর্শী শ্রদ্ধা নিবেদন করে করোনায় কীভাবে দ্রুত অবনতি ঘটে তা ব্যাখ্যা করেন। দ্য নিউজ
[৩] যুক্তরাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে যার মধ্যে ১শ’ জনেরও বেশি এনএইচএস কর্মী এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী রয়েছে। বিবিসি
[৪] ৮ বছর বয়সী মামুনা মূলত লাহোর থেকে এসেছেন এবং তার স্বামীর নাম ডাক্তার আজিম কুরেশি। তাদের আট বছরের মেয়েকে নিয়ে পূর্ব লন্ডনে বাস করতেন।
[৫] রানার স্বামী ডাক্তার কুরেশি নিউহাম হাসপাতালের একজন সিনিয়র ডাক্তার তার স্ত্রীর প্রতি মর্মস্পর্শী শ্রদ্ধা নিবেদন করে করোনায় রানার অবস্থা কীভাবে দ্রুত অবনতি ঘটে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তার স্ত্রী ভাইরাসটি সংক্রামিত হয়েছিল যখন তারা দু'জন ফ্রন্টলাইনে কাজ করছিল।
[৫] ৮ ই এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করে তাদের দুজনেরই করোনা শনাক্ত হয়। ১১ এপ্রিল ডাক্তার রানা শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পূর্ব লন্ডনের হুইপস ক্রস হাসপাতালের দুর্ঘটনা ও জরুরি অবস্থার (এএন্ডই) বিভাগে ভর্তি করা হয়। তারপরে ১১ এপ্রিল তাকে প্রিন্সেস আলেকজান্দ্রা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। তিনি ১৬ এপ্রিল মারা যান।
[৬] কুরেশি বলেন, রানা সকলের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিলো। ভদ্রতা, করুণা, বুদ্ধি, নরম প্রকৃতির রানাকে আমি ও আমার মেয়ে চিরদিনের জন্য মিস করব।
আপনার মতামত লিখুন :