রাজু আলাউদ্দিন: [২] করোনা পজিটিভ রোগীর বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা জানলেন, তিনি নিজেই আক্রান্ত। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এই কর্মকর্তা করোনা আক্রান্তের সংবাদে সেখানে অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওই কর্মকর্তা এখন তার সরকারি বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
[৩] গত তিন দিন আগে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের পাশের বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করতে যান উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। তার আগে তিনি জানতে পারেন রাজধানী ঢাকা থেকে আসা একব্যক্তি সেখানে করোনা পজিটিভ নিয়ে অবস্থান করছেন। বুধবার দুপুরে এই ঘটনার সময় মুঠোফোনে প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানতে পারেন তিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত। এর আগে গত সোমবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। আজ সেই নমুনার রিপোর্ট আসে তার করোনা পজিটিভ।
[৪] এরপরই ওই নারী কর্মকর্তাকে তার সরকারি বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য পরামর্শ দেন চিকিৎসক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলায় করোনার বিস্তার রোধে এই নারী কর্মকর্তা বেশ সক্রিয় ছিলেন। দেশে ফেরাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেও তার ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো।
[৫] চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, করোনা আক্রান্ত ওই কর্মকর্তা তার বাসভবনে অবস্থান করে চিকিৎসা সেবা নিবেন। এই সময় তার সরকারি কার্যালয় এবং বাসভবনও লকডাউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সংস্পর্শে আসা ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে পরীক্ষা করার জন্য। এ নিয়ে চাঁদপুরে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৭ জনে। এর মধ্যে দুইজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এবং ৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনো ৮জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :