কামাল হোসেন : [২] রাজবাড়ীর গোয়ালেন্দ তালিকাভুক্ত ১৮টি এবং এর বাইরে বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ১৮ মার্চ থেকে এগুলো বন্ধ রয়েছে। অভিভাবকরাও বন্ধ রেখেছে প্রাইভেট। ফলে তাদের উপার্জন নেই।
[৩] কয়েকজন শিক্ষক জানান, কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা ও প্রাইভেট পড়িয়ে কোন রকম পরিবারের খরচ সামাল দিই। এমনিতেই ঠিকভাবে বেতন পাই না, তার ওপর চলছে লকডাউন। পরিবার নিয়ে বিপাকে রয়েছি।
[৪] শেখ আনছার আলী ইসলামী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মৌলভী আজিজুল হাকিম জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া মাসিক বেতন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের বেতন পাননি শিক্ষকসহ কর্মচারিরা।
[৫] প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনার স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি কোন সুযোগ- সুবিধা পান না। এই দুর্যোগেও তারা সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহায়তা না পাওয়ায় দুঃসময় পার করছেন। এরা লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে বা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারছে না; আবার সংসারও চলছে না।
[৬] গোয়ালন্দ উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশিদ জানান, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সংগঠনের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের সহায়তা দিচ্ছেন।
[৭] গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, তালিকাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি তারা সহায়তার আওতায় আসবেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :