স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : [২] তারা সবাই কমবেশী এক বয়সী, কেউ ছাত্র, কেউবা আবার সবেমাত্র কর্মজীবন শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতি এ তারণ্যকে করেছে স্বেচ্ছা গৃহবন্দি। কিন্তু ঘরে আর কতক্ষণ থাকা যায়? বয়সটা তো তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারেনা।
[৩] দেশের এই দুর্যোগে তরুণরা কী চোখ বন্ধ করে ঘরে থাকতে পারে? তাই সব বাঁধা তুচ্ছ করে তারা সদল বলে এগিয়ে এসেছেন অসহায়দের সহায়তা করতে।
[৪] কিন্তু দুস্থ মানুষের হাহাকার আর ক্ষুধা দূর করতে চাই বড় ধরনের ফান্ড। অথচ তরুণদের অধিকাংশই ছাত্র। সেজন্য তারা সিদ্ধান্ত নিলো পকেট খরচের টাকা জমিয়ে ফান্ড গড়বেন। পরে সেই টাকা দিয়ে খাদ্য সহায়তা দিবেন ক্ষুধার্তর মানুষকে। এভাবে মৌলভীবাজার জেলা সদরের কয়েকজন তারুণ্যদীপ্ত দরদী মনের মানুষ এই মানবিক সহায়তার কাজটি শুরু করেছেন।
[৫] সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবার, যারা লজ্জায় কোন ত্রাণ সংগ্রহ করেন না, আবার মুখ ফুটে নিজেদের নিদারুণ কষ্টের কথা বলতেও পারেন না এ জনগোষ্ঠীই প্রতি কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। তাদের দলের নাম ডিস্ট্রয়ার্স। দলের উদ্যোক্তাদের অন্যতম ইমরান মাহমুদ, সৈয়দ সৌমিক, সৈয়দ দেলোয়ার, মুহাইমিন ফাহিম, রাফসান, নুরুল ইসলাম, রিমন আহমদ, সৈয়দ সিজানসহ এক ঝাঁক তরুণ। তারা জানান, মধ্যবিত্ত যারা অন্য সকলের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে অস্বস্তি বোধ করেন তাদের দরজায় ত্রাণসামগ্রী রেখে আসেন। সাথে একটা চিরকুটে লেখা থাকে ‘ডিস্ট্রয়ার্স পরিবারের পক্ষ থেকে আপনার জন্য উপহার’।
[৬] ডিস্ট্রয়ার্সের সদস্য সৈয়দ সৌমিক বলেন, ফটোসেশনের জন্য আমরা এ কাজটি করছি না। কারো মুখে একটু হাসি ফুটলেই আমাদের শ্রম সার্থক। সামর্থ থাকলে আরও বেশি করার চেষ্টা করতাম আমরা। নিজেদের পকেট খরচ বাঁচিয়ে আর কতটুকুই করা যায়? আমাদের যারা টিউশনি করে, ছোটখাটো চাকরি বা ব্যবসা করছি সকলের সহযোগিতায় এ কাজটা করা সম্ভব হয়েছে।
[৭] তাদেরই একজন সৌমিক বলেন, যতোটা সম্ভব আমাদের প্রাণের শহরের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি তাতেই আমাদের আনন্দ। মনেও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :