[১] বাড়িতে থেকেও করোনামুক্তি পেলেন না ৭০ বছরের বৃদ্ধ
মাহমুদুল আলম :[২] তবে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার এই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার কোন কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানা যায় যে তিনি করোনা সংক্রমিত ছিলেন।
[৩] গত সোমবার পার্শবর্তী ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নেওয়ার সময় চিকিৎসকেরা তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এরপর রিপোর্ট আসার পর জানা যায় তিনি করোনা পজেটিভ।
[৪] এই ঘটনার পর ওই বৃদ্ধের বাড়িটি লকডাউন করার পাশাপাশি তার স্ত্রীসহ তাকে আলাদা করে আইসোলেশনে রাখা হয়।
[৫] স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেনের বরাত দিয়ে ডিবিসিনিউজে বলা হয়, জ্বর ও এ্যাজমার সমস্যা নিয়ে ওই বৃদ্ধ পার্শবর্তী রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসা নেওয়ার পর সেখানে শরীরের নমুনা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং আগের ন্যায় স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করেন। তাদের আশংকা ওই বৃদ্ধের মাধ্যমে ভাইরাসটি অনেক মানুষের মাঝে ছড়িয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
[৬] কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান, করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ বাড়ি থেকে মসজিদে যাতায়াত ছাড়া অন্য কোথাও খুব একটা যেতেন না। শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর মঙ্গলবার রাতেই ওই বৃদ্ধের পুরো বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
[৭] এছাড়া ওই বৃদ্ধের দ্বারা অন্য কেউ সংক্রমিত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং নিকটতম প্রতিবেশিদের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
[৮] পিরোজপুরের ৭টি উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত ২১১ ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও অর্ধশতাধিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত রিপোর্টে এখন পর্যন্ত পিরোজপুর সদর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া ও কাউখালী উপজেলায় ৯ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক যুবক সুস্থ হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :