লাইজুল ইসলাম : [২] করোনা শনাক্তের হার এরকম ধরে রাখতে পারলে মে মাসের মাঝের দিকে সংক্রমণ কমতে পারে বলেন জানিয়েছেন আইইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
[৩] সারাদেশে এই মুহুর্তে চারটি জেলা ছাড়া সবগুলোতেই করোনা রোগি পাওয়া গেছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। এই অবস্থায় খুলে দেওয়া হচ্ছে কল-কারখান ও গার্মেন্টস। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটছে কর্মস্থানে।
[৪] এমন পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই জরুরি। আর এটা করতে পারলে আমরা মে মাসের মাঝামাঝিতে রোগির সংখ্যা কমছে দেখতে পারব। কিন্তু মানুষ যদি এটা না মানে কি হবে বোঝা খুব কঠিন।
[৫] তিনি বলেন, কল-কারখানা, গার্মেন্ট খুলতেই খুলতেই হবে। তবে দেখার বিষয় তারা কতটুকু নিয়ম মেনে খুলছেন। কারণ আগে যেখানে ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করত সেখানে এখন কাজ করতে পারবে তিনের এক ভাগ।
[৬] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, কিছু কিছু করে খুলে দেওয়ারও বিপক্ষে আমি। মে মাসে সবচেয়ে বেশি এই রোগ ছড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরমধ্যে এই সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। কষ্ট হলেও, সব সুবিধা দিয়ে হলেও একটি মাস বন্ধ থাকা জরুরি।
[৭] ডা. উত্তম কুমার বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তাতে ভালোই এগিয়ে চলেছিলাম আমরা। কিন্তু সব কিছু খুলে গেলে অনিশ্চিত বিপদে পরবে সারাদেশে। কি পরিমান শণাক্ত হবে তার কোনো পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নাই। তবে এতে বড় ধরণের ক্ষতি ও হুমকির মুখে রয়েছি আমরা।
আপনার মতামত লিখুন :