সাইদ রিপন : [২] বর্তমান সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎস হতে সম্পদ সরবরাহের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিনিয়োগ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈদেশিক সাহায্য অপরিহার্য।
[৩] এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ড. পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ বিশ্বব্যাপী করোনার ছোবলে সবকিছু থমকে গেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থবছর বৈদেশিক সহায়তা কম হবে এটা স্বাভাবিক। তবে আগামী অর্থবছর এ হার বেশি হবে।
[৪] ইআরডির উপসচিব সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছর বৈদেশিক অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭১ হাজার কোটি টাকা কিন্তু সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের অর্থছাড় হয়েছে ৩৪৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ২৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। গত অথবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমান ছিলো ৪৯৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩৩ হাজার ২০১ কোটি টাকা।
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বেশি খরচ করতে পারলে অর্থছাড় বেশি হবে। মন্ত্রণালয়গুলো যেভাবে কাজ করে সেভাবেই অর্থছাড়া হয়। অর্থছাড় বাড়াতে বা কমাতে ইআরডি সরাসরি জড়িত না।
আপনার মতামত লিখুন :