আর রাজী, ফেসবুক থেকে : ব্যক্তিখাতের হাসপাতালগুলো এবং যেসব চিকিৎসক নিজের ঘরে রুগি দেখেন তাদের কার্যক্রম বন্ধপ্রায়। এই অবস্থার অবসান হতে পারে, যদি প্রতিটি ব্যক্তিখাতের হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ঘরে আসা রুগিদের করোনা আছে কি না তা পরীক্ষা করার অনুমতি সংশ্লিষ্টদেরই দেয়া হয়।
অতিজরুরি অবস্থাতেও তাদের পক্ষে কোনো রুগি দেখা সম্ভব হচ্ছে না রুগির করোনা আছে কি নাই- তা নিশ্চিত হতে না পারার কারণে। এ পর্যায়ে এসে নীতিকথা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এই অচলাবস্থার সুরাহা সম্ভব কেবল যদি ব্যক্তিখাতের হাসপাতাল ও নিজের ঘরে রুগি দেখা চিকিৎসকদের করোনা পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়। বাস্তবতার কারণে এই পরীক্ষাটি অবশ্যই র্যাপিড-টেস্ট জাতীয় কিছুই হবে। এক্কেবারে অন্ধভাবে হাতপা গুটিয়ে বসে থেকে মানুষকে মরে যেতে দেওয়ার চেয়ে র্যাপিড-টেস্ট স্বর্গীয় সমাধান।
আমরা, এই রাষ্ট্রের সামর্থ্য ও চরিত্র জানি, এসময় আমাদের বাস্তববাদী হতেই হবে। যে দেশের হোক, যেমনই হোক, সব ধরনের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের দরবারে র্যাপিড-টেস্টের অনুমতি দেওয়া হোক। ব্যক্তি পর্যায়ে চিকিৎসা-খরচ এতে বাড়বে, চিকিৎসা-ব্যবসায়ীদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে কিন্তু এই মুহূর্তে এর কোনো ভাল বিকল্প আশা করা দুরূহ। প্লিজ, অনতিবিলম্বে প্রতিটি চিকিৎসালয়ে আগন্তুক রুগিদের র্যাপিড-টেস্টের অনুমতি দিন, মানুষকে ন্যূনতম চিকিৎসা পেতে সহায়তা করুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এসবি
আপনার মতামত লিখুন :