শেখ আদনান ফাহাদ : আমি তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস টিমের সদস্য। গণভবনে একদল বিজ্ঞানীকে দাওয়াত করলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কাভারেজ হবে, আমি গেলাম। দেখি বিএনপির আমলের ঢাবি উপাচার্য, বিজ্ঞানী এসএমএ ফায়েজ স্যারও আছেন দাওয়াতিদের মধ্যে। পাটের জন্মরহস্য উদ্ঘাটনে যেসব বিজ্ঞানী কাজ করেছেন তাদের দাওয়াত করে সম্মান জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে আছেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম স্যার। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান শেষ। এবার একটু খানাপিনা। খাবার সাজানো আছে। সবাই যে যার মতো পেটে নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী হেঁটে এসে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগ দিলেন। ফায়েজ স্যার একটু দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। হয়তো শরম পাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা খুবই আন্তরিক গলায় জোর দিয়ে বললেন, ‘ফায়েজ সাহেব দূরে কেন এদিকে আসেন। কথা বললেন, কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। আমি যতোদিন কাজ করেছি, আমি দেখেছি শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী, আন্তরিক, দূরদর্শী, নিষ্ঠাবান, দৃঢ় মানসিকতার মানবিক প্রধানমন্ত্রী। নিজে সারাজীবন আর্টস পড়লেও আমি বুঝি বিজ্ঞানের কোনো দল নেই, বিজ্ঞানীর থাকতে পারে। আর জাফরুল্লাহ সাহেব তো বিজ্ঞানী নন, ডাক্তার কাম-রাজনীতিবিদ। আমার মনে হয় সমস্যা মূলত গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়কে দেশের খুব কম মানুষই পছন্দ করে। তার উপর আমি অন্তত কোনো ভরসা রাখি না। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উপর ভরসা করে। এই মহান রাষ্ট্রনায়কের উপর ভরসা করে আমরা ভালো রেজাল্ট পেয়ে এসেছি। অপেক্ষা শুধু বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটা ফলপ্রসূ সাক্ষাৎ। সাক্ষাৎ যে শুধু দেখা করলেই হয় তা নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশে সরাসরি দেখা হওয়ার কোনো দরকারও নেই। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটা ভিডিও কনফারেন্স বদলে দিতে পারে পুরো পরিস্থিতি। অথবা একটা ফোন কল। অথবা নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্যারের ভিডিও ক্লিপ নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছবে। ইন্টারনেটের শক্তি ভয়ংকর। ভিডিও ক্লিপটি কয়েক লাখ মানুষ দেখেছে। আমার বিশ্বাস ভালো কিছু হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :