শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমি কিছু পরিস্থিতির কথা চিন্তা করি ও বিচলিত হই

সিরাজুম মুনির : ১. করোনা আক্রান্ত ক্রিটিক্যাল রোগীর সংখ্যা এতোই অধিক যে হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরের ঘাটতিতে চিকিৎসা ছাড়াই শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছে মানুষ, মারা যাচ্ছে একের পর এক। ২. এ রকম হাজারো মানুষ যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিন্তু পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ১ জন ছড়াচ্ছে ৩ জনের শরীরে, সেই ৩ জন ৯ জনে, সেই ৯ থেকে ২৭। এ রকমটা হয়ে আসছে বিগত দেড় মাস ধরে। গুণিতকহারে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা ইমার্জেন্সি নম্বরের ১৪ লাখ ফোন কল থেকে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যায়। এটা এই মুহূর্তে কী হারে বিস্তৃত হচ্ছে।
৩. মানুষ টেস্ট না করে, চিকিৎসা না পেয়ে হুটহাট এখানে সেখানে মরে যাচ্ছে। এখন অসংজ্ঞায়িত এই মৃত্যুর সংখ্যাটা দশকের ঘরে আছে। সেটি পৌঁছে যাচ্ছে শতক কিংবা হাজারের ঘরে, এ রকম সময়টা কীভাবে সামাল দেবে পরিবার, মানুষ, দেশ। ৪. দেশে নাকি এখন পর্যন্ত ৪০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। এমনিতেই ডাক্তার, নার্সের সংখ্যা অপ্রতুল, সব মিলিয়ে প্রায় ৮৫ হাজার জন। তারাই যদি ব্যাপকহারে সংক্রমিত হতে থাকেন, তখন চিকিৎসা দেবেন কারা? সেটার ব্যাকআপ হিসেবে আমরা কি কিছু ভেবেছি?
৫. মে মাসের মধ্যে সিঙ্গাপুরের অতি আশাবাদী গবেষণা অনুযায়ী যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমে, যদি করোনা আগামী দু’তিন মাসের জন্য জেঁকে বসে, যদি উচ্ছৃঙ্খলতার খেসারত দিতে গিয়ে লাখো মানুষ আক্রান্ত হয়, তবে দেশের মেরুদ- কী পরিমাণে ভেঙে যাবে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কতোটুকু প্রস্তুত আমরা? ৬. এই দেড় মাসের মধ্যেই গরিব মানুষের যে হাহাকার, মহামারির ব্যাপকতায় সেটি কতোটা তীব্র হবে। কীভাবে সেই মানুষদের সহায়তা দেবে বিপর্যস্ত এক জাতি, যারা নিজের বাবা মাকেও ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে যেখানে-সেখানে, গ্রহণ করছে না মৃতদেহ, যেখানে কাউকে ছুঁয়ে যাচ্ছে না মানবিকতা। আমাকে ভাবায়, প্রতিনিয়ত। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়