আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: [২] এছাড়াও তারা ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহেদুর রহমান উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে স্বাবলম্বি পরিবারের সদস্যদের কার্ড বরাদ্দ, ঘর নির্মাণের প্রলোভনে হত দরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
[৩] তবে ওই ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
[৪] জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের চতুর্থ ধাপে ওই ওয়ার্ডের মাস্টাররোলের তালিকার ক্রমিকে ৭৫ নম্বরে থাকা জিয়াউর রহমান জানান, তিনি কোনো চাল পাননি, এই টিপসই তার নয়।
[৫] দ্বিতীয় ধাপের মাস্টাররোলের তালিকায় ৬৬ নম্বরে থাকা রাজমিস্ত্রি শাহীন জানান, তার সংসারে খুব অভাব; কিন্তু তিনি চাল দেওয়ার বিষয়টি জানেন না এবং টিপসই তার নয়। তালিকার ৭৯ নম্বরে থাকা আসমা বেওয়া ও ৮২ নম্বরে থাকা সাহেব বাদশাহ পাঁচ বিঘার বেশি জমির মালিক।
[৬] তবে ইউপি সদস্য জাহেদুর রহমান উজ্বল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো দৃঢতার সঙ্গে অস্বীকার করে বলেন, ফুলকোট মন্ডলপাড়ার শাহীনকে চাল দেওয়া হয়েছে।
[৭] তিনি দাবি করেন, একই নামে ফুলকোট বামনদীঘিপাড়ায় আরেকজন রয়েছেন। এসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। তিনি ঘর দেওয়ার নামে কারও কাছে টাকাও নেননি। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
[৮] এ ব্যাপারে ওই ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল সাংবাদিকদের জানান, ইউপি সদস্য উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে। এর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৯] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভীন জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :