মাহমুদুল আলম : [২] এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের হৃদরোগ চিকিৎসার সবচেয়ে বড় এই ইনস্টিটিউটের আরও ১৫ জন চিকিৎসক এবং ৩৭ জন নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একাত্তর টিভি ও বিডিনিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
[৩] মঙ্গলবার ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কাজল কুমার কর্মকার জানান, এর আগে সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। মঙ্গলবার আরও একজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে।
[৪] তিনি বলেন, এ হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ১০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন। ওই ১০ জন রোগীর মধ্যে একজন শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের কোভিড-১৯ চিকিৎসার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৫] হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন বলেন, ওই রোগীরা হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার সেবিকাসহ অন্যরা আক্রান্ত হন।
[৬] ডা. কাজল জানান, আটজন ডাক্তার ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন নার্স, দুজন ওয়ার্ড মাস্টার, তিন জন ওয়ার্ড বয় এবং একজন আনসার সদস্য রয়েছেন।
[৭] গত বুধবার এ হাসপাতালের এক রোগীর দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর তার সেবায় থাকা ডাক্তারসহ অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে আরো বেশ কয়েকজন রোগীর উপসর্গ দেখে পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
[৮] সব মিলিয়ে ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডা. কাজল বলেন, “তাদের ১৫ জন চিকিৎসক এবং ৩৭ জন সেবিকা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
[৯] হৃদরোগ চিকিৎসার বিশেষায়িত এ হাসপাতালে ২১০ জন চিকিৎসক এবং প্রায় সাড়ে আটশ সেবিকা রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :