শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আর্থিক সমস্যার কারণেই রাজধানীর সড়কে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ, ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিতে ব্যর্থ সরকার

লাইজুল ইসলাম: [২] বারবার নির্দেশনার পরেও রাস্তায় নামছে মানুষ। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাজারে, দোকানে, রাজপথে রাজধানীবাসী। কেন? তুলনামুলক বিচারে দেখা গেছে, ঢাকার উচ্চবিত্ত এলাকাগুলোর তুলনায় নিম্নবিত্ত এলাকার নাগরিকরাই বাইরে বের হচ্ছেন বেশি। কারণ হিসেবে, আয় বন্ধ থাকা, খাবারের সংকটই বড় হয়ে আসছে।

[৩] প্রশাসনের নির্দেশে রাস্তার বদলে মাঠে বসছে বাজার। সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। কারো মুখে মাস্ক আছে, কারো খোলা, কারো পকেটে। অথচ মাছ, সবজি কিনতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হচ্ছেন।

[৪] যত সময় বাড়ছে, ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় দীর্ঘ হচ্ছে এমন সারি। রোজার মাস তাই সবাই একটু খেজুর, তেল কেনার জন্য উদগ্রীব। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে দাগ থাকলেও মনের অজান্তেই যেন কাছাকাছি চলে আসছেন অপেক্ষমানরা। খাবার সংকট আর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষোভ তাদের।

[৫] ফারুক আলম বলেন, ভাই বাসায় বসে থাকলে খাবার তো জুটতো না। এখানে রিলিফের মাল মুখ চিনে দেয়। তাছাড়া আমরা না হয় হাত পাতি। যারা পাততে পারে না তাদের খবর কেউ নেয়? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

[৬] কাছাকাছি সময়ে রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান-বনানীর চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রাস্তায় একেবারেই কম যানবাহন, দোকানপাটও খুলছে কম। দৈনিন্দন বাজার কিংবা কেনাকাটা করতেও এসব এলাকায় মানুষ কম বেরোচ্ছেন বাইরে।

[৭] নিয়ম মানছেন না একটি শ্রেণি কেনো? সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, নগরায়নের কারণে এ বিভেদ। যদিও সরকার বলছে সামাজিক কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে এই বিভেদ লক্ষনীয়। লকডাউন মানা না মানার ইস্যুতে খাবার সংকট ও আর্থিক দৈন্যতা একটা বড় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে এই সমাজের কাছে।

[৮] তৌহিদুল হক বলেন, সবার খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে, ঘরে থাকা নিশ্চিত করা যেতো। লকডাউনের প্রথম দিকে সরকার বা সেচ্ছাসেবিরা এগিয়ে এসেছিলো। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে এখন ধীরে ধীরে তাদরে সহায়তার হাত কমছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মনে খাবার না পাওয়ার ভয় ঢুকেছে। ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা তাই বেড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়