বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি পণ্য পরিবহণে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকেই চিঠি দিয়েছে। কিন্তু ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিকরা বলছেন, পণ্য আনতে টোল আর চাঁদা দিতেই হচ্ছে। শুধু কমেছে এই সাইড কর।
[৩] উত্তরবঙ্গ থেকে কৃষি পন্য নিয়ে এসেছে, এমন এক ট্রাক চালক জানান, আগে যেমন পুলিশ বলতো কাগজ দেখা, সাইড কর এসব এখন নেই। কিন্তু স্ট্যান্ডের , মালিক সমিতির, চালক সমিতির , সরকারি টোল, সিটি কর্পোরেশনের ইজারা সবইতো আছে। সব মিলিয়ে প্রতি ট্রাকে আসা যাওয়ায় প্রায় হাজার ১২শ টাকা চাঁদা- টোল যাচ্ছেই।
[৪] অর্থনীতিবিদ মোনোয়ার মোস্তফা বলেন, আনাজ বা সবজি এই সময়ে কৃষককে বাঁচিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, শহরে ছোট ছোট দোকানদার, বাসের হেলপার, টেম্পুর চালক তারাওতো ভ্যানে করে এখন সবজি বেঁচে। সুতরাং আনাজই এখন আসল অর্থনীতি। তিনি বলেন, প্রতি কেজি সবজিতে চাঁদা ও টোলের জন্য মূল্য বাড়ে ২ টাকা।
[৫]কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজির মতে, চাষিরা দুই ধরনের সবজি চাষ করে। একটি নিজের খাওয়ার জন্য অন্যটি বিক্রির জন্য। চাষি নগন্য দামে সবজি বিক্রি করছে। তারপরের এই সবজির জন্যই তার হাতে কিছু টাকা আছে। যাতে সে তার নিত্য খরচ চালাতে পারছে।
[৬] এবিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, পণ্য পরিবহন চালকদের একটি প্রধান সমস্যা ফিওে যাওয়ার সময় মালামাল পায়না। তা ছাড়া পথে তারা খাবে এমন হোটেলও তো খোলা নেই। আবার যেখানে এসে পণ্য নামাবে সেখানে শ্রমিক নেই। এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেমন শ্যামবাজরে কুলি ছিল না। তাদের জন্য বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে টোল বা চাঁদার বিষয়টি আছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :