সোহেল রহমান : [২] গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে অলস অর্থ বা অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।
[৩] তিন মাসের ব্যবধানে ডিসেম্বর (২০১৯) শেষে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।
[৪] এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে এর পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ৬০১ কোটি টাকা।
[৫] অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দুই-তিন বছর আগে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য কিছুটা কমেছিল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে অলস অর্থের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৯১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
[৬] এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ১২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
[৭] বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যাংকের ক্যাটাগরি ভিত্তিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে। গত ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সম্মিলিতভাবে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
[৮] অন্যান্যের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ৩৯ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা; বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ১৪ হাজার ৪১০ কোটি টাকা ও ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে সম্মিলিতভাবে মোট ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।
[৯] সূত্রমতে, টাকার অঙ্ক সুনির্দিষ্টভাবে জানা না-গেলেও রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অলস অর্থ রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।
[১০] এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে জনতা, রূপালী, বেসিক, অগ্রণী ও বিডিবিএল ব্যাংক।
আপনার মতামত লিখুন :