মো. আখতারুজ্জামান : [২] জাতীয় পর্যায়ে ২৮ এপ্রিল পালিত হচ্ছে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস। জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি এ দিনটিকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় নিহত, আহত, শারীরিকভাবে অক্ষম ও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া শ্রমিকদের স্মরণে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক স্মরণ দিবস হিসেবে।
[৩] দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল নেতারা গণমাম্যমে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
[৪] বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সংকট তৈরি হয়। এর পর সরকারের পক্ষ থেকে ২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো অনেকটাই যুগোপযোগী করা হয়। সেই সঙ্গে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার গুরুত্ব, স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব স্পষ্ট করে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
[৫] নেতারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারীর প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে জীবনযাত্রা, যার ভয়াবহতা আজ বাংলাদেশেও সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের মত শ্রমঘন এলাকাগুলোতেই করোনায় আক্রান্তের হারও সবচেয়ে বেশি।
[৬] সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রভাব পড়েছে সব শ্রেণি পেশার মানুষের জীবনে। বিশেষভাবে অচল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা। এ সময়ে সব শ্রমজীবী মানুষের বেতন, ভাতা, বোনাস নিশ্চতকরণ, বেতন দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে ছাঁটাই থেকে বিরত থাকা। কর্মস্থলে প্রতিটি শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা।
আপনার মতামত লিখুন :