আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দক্ষিণ চীন থেকে ঘুরে আসায় বেইজিংয়ের বাড়িতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বাধ্য হন ইয়ান লাহফি ও তার পরিবার। সময়সীমা শেষে ঘরের বাইরে বের হয়েই অবাক হয়ে যান। তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজার ঠিক সামনে একটি ক্যামেরা লাগানো, যার লেন্স তার দিকে তাক করা রয়েছে। সিএনএন
[৩] তিনি বলেন, ‘এটা প্রাইভেসির উপরে বড় ধরণের আঘাত। এটা বড় ধরণের তথ্য হাতানোর কৌশল। আমি জানি না এটি কতটা বৈধ বিষয়।’
[৪] কোয়ারান্টোইনে থাকা লোকদের দরজায় ক্যামেরা থাকতেই হবে এমন কোনও ঘোষণা দেয়নি চীন সরকার। কিন্তু ফেব্রুয়ারি থেকেই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এমনটা হচ্ছে। এই বিষয়ে কমপক্ষে ৩ জন সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন।
[৫] নজরদারী ক্যামেরার বিষয়ে চীনে বর্তমানে সুনির্দিষ্ট কোনও আইন নেই। এ ধরণের ডিভাইস দেশটির জনজীবনে বর্তমানে খুব সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি কে রাস্তা পার হচ্ছে, শপিং করছে বা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে তাও সরকার জানে।
[৬] ২০১৭ সারৈ চীনজুড়ে এ ধরণের প্রায় ২ কোটির বেশি ক্যামেরা লাগানো হয়। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে এই সংখ্যা আদতে অনেক বেশি। আইএইচএস মার্কিট টেকনলজি বলছে চীন সরকার এরকম ৩৫ কোটি ক্যামেরা ইন্সটল করেছে। পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই ক্যামেরা আছে এর ৫ ভাগের ১ ভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :