মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীতে নগরীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যস্ততার কারণে রাসিক থেকে বাড়তি নজর দেয়ার জন্য ভাটা পড়েছে মশক নিধন কার্যক্রমে। এতে নগরীতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
[৩] কয়েল কিংবা অন্য কোনো উপায়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার অত্যাচার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
[৪] নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম না বাড়ায় মশা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের। রাত হলেতো কোন কথায় নেই, দিনেও বেড়েছে মশার দাপট। করোনার কারণে নগরীর ড্রেন পরিষ্কারের গতি কমে এসেছে। যার কারণে ড্রেনে জন্ম নেয়া মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। নগরীতে মশার এতোটাই দাপট যে কয়েল কিংবা অন্য কোনও উপায়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই মিলছে না।
[৫] এদিকে দিনের বেলায় নগরীতে মানুষ চলাফেরা করছে অনেক কম। সন্ধ্যার পর কিছু লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন। বের হওয়ার পরই তারা মশার কবলে পড়ছেন। বিশেষ করে নগরীর ব্যাংক বীমা, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে রাতের পাহারাদাররা বলছেন, সন্ধ্যার পর ঘরে হয়তো কম মশা কিন্তু বাইরে একেবারে মাছির মত মশা দেখা যায়। কয়েল জালিয়ে এসব মশা তাড়ানো যায় না। চারপাশে কয়েল জালিয়ে দিলেও রক্ষা পাওয়া যায় না।
[৬] তবে মশা নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শেখ মামুন। তিনি বলছেন, রাজশাহীতে মশার পরিমাণ অনেক কম। গত মার্চ মাসেই ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা মারা হয়েছে। নিয়মিত রুটিং মাফিক তেল ছিটিয়েই নগরীতে মশা নিধন কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে আগামীতে আবারো ফগার ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :