এস এম সাব্বির : [২] করোনা মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে শেখ সাহেরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের হাতে ঘরে বসে নিজেদের তৈরী দেড়'শ পিচ ফেস-শিল্ড তুলে দিলেন মোংলার একদল তরুণ শিক্ষার্থী।
[৩] কলেজের অধ্যক্ষ ডা. লিয়াকত হোসেন তপন এসব ফেস-শিল্ড গ্রহণ করেন। এসময় সেখানে কলেজের ইন্টার্ণ-কোঅর্ডিনেটর ডা. সুভাষ চন্দ্র ভাদুড়ী, সহযোগী প্রফেসর ডা. সামস-ই-তাব্রিজ, সহযোগি অধ্যাপক ডা. পঙ্কজ কুমার মোহন্ত ও ডা. আলীনুর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
[৪] দেশের এ ক্রান্তিকালে করোনার সম্মুখ সমরে যেসব চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের এ মহৎ উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
[৫] প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রথম এ উদ্যোগ নেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র সুমিত চন্দ। তিনি বাড়িতে বসে করোনার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে অনুভব করেন এই ফেস-শিল্ডটি তৈরীর বিষয়টি। যেই ভাবা সেই কাজ, তৈরী করে ফেলেন শ' খানেক ফেস-সিল্ড।
[৬] ডাক্তারদের ইতিবাচক সাড়া পেয়ে এই উদ্যোগে পরবর্তীতে এগিয়ে আসেন গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী শুভ রায় ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী অর্নব খান। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত, রুয়েটের শিক্ষার্থী ইরফান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তনু, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত এবং শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাইয়ানসহ অনেকে।
[৭] উদ্যোক্তা সুমিত চন্দ জানান, কুয়েটের সিনিয়ররা এবং মোংলা অঞ্চলের কিছু বিত্তবান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একারণে বিনামূল্যেই ফেস-শিল্ড দিতে পারছি। সচেতনতামূলক বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে সারাদেশে এমন বেশ কয়েকটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন বলেও জানান সুমিত। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :