শাহনাজ বেগম : [২] সোমবার রয়টার্সের এক সমীক্ষায় দেখা যায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ মিলিয়নের বেশি।
[৩] গত আট সপ্তাহ ধরে বিশ্ব স্থবির থাকার পর অনেক দেশ লকডাউন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে সহজ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
[৪] চীনের উহান শহরে গত জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে প্রথম ৪১ জনের করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৩ মিলিয়ন করোনা আক্রান্ত হয়েছে অথচ বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারাত্মক অসুস্থ হয় প্রায় ৩ থেকে ৫ মিলিয়ন মানুষ।
[৪] গত সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৮২ হাজার করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এর এক চতুর্থাংশেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং শতকরা ৪৩ ভাগের বেশি ইউরোপে রেকর্ড করা হয়েছে।
[৫] মঙ্গলবার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে বিশে^ করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ জন এই হিসেবে আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
[৬] প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা কম হতে পারে কারণ অনেকে মৃদু উপসর্গ নিয়ে বা শনাক্ত না হয়েও মারা গেছেন।
[৭] ইতালি, ফ্রান্স এবং স্পেন সহ ইউরোপের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ দেশ সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছিলো।
[৮] রোববার বিশে^ মোট আক্রান্তের শতকরা ২.৫ ভাগ বেড়েছে যা প্রায় দুই মাসের মধ্যে দৈনিক হারে সর্বনিম্ন। এর আগে মার্চ মাসের শেষের দিকে আক্রান্তের দৈনিক হার ছিলো শতকরা ১০ ভাগের বেশি।
[৯] ইতালি ৪ মে থেকে আবার কিছু কারখানা চালু করার অনুমতি দেবে, স্পেন রোববার লকডাউন বিধি শিথিল করে শিশুদের বাইওে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলো।
[১০] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিলের বেকারত্বের হার শতকরা ১৬ ভাগ বাড়তে পারে এমন পূর্বাভাসে বেশ কয়েকটি রাজ্য আবার অর্থনীতি সচল করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :