লিহান লিমা: [২]করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা একমাস বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে বাংলাদেশে চালু হয়েছে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য কল-কারখানা। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, কারাখানা খোলার অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের ফলে করোনার প্রার্দুভাব ভয়াবহ হতে পারে। তারা করোনা প্রতিরোধে ইদুল ফিতর পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কার্যকরের পরামর্শ দেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) করোনা পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ইউএন নিউজ, ইউএনবি
[৩]আইএলও এর নির্বাহী পরিচালক গাই রায়ডার বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এখন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। কোনো রকমের ঢিলেমি দিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করা এবং শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপে করোনার দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ আসতে পারে।
[৪]জেনেভা অফিস থেকে দেয়া এই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মহামারীকালীন আমরা কিভাবে সংক্রামক রোগের প্রার্দুভাব মোকাবেলা করবো, কিভাবে কর্মীদের সুরক্ষা করবো, আমাদের চারপাশ কতটা নিরাপদ, এবং আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কতটা স্থিতিশীল তা স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
[৫]আইএলও জানায়, মালিকপক্ষকে ঝুঁকি মূল্যায়ন করে কর্মক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিধির সবোর্চ্চ সতর্কতা গ্রহণই শ্রমিক, তাদের পরিবার ও সমাজকে মহামারী থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। আর তা হলেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অর্থনীতির গতি সচল রাখা সম্ভব।
[৬]অন্য এক বিবৃতিতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক করোনা মোকাবেলায় তাড়াহুড়ো করে লকডাউন শিথিল না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি নতুন বিপদের কারণ হতে পারে। তিনি স্বাস্থ্য কর্মীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন। কীভাবে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তার উপায়ও বলে দিয়েছে সংস্থাটি।
[৭] বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৬৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ জন।
আপনার মতামত লিখুন :