কামরুল হাসান মামুন : তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়। সেই বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালে সেবিকা হিসাবে কাজ করার মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন কবি সুফিয়া কামালের মেয়ে সুলতানা কামাল।
এখনো তার জীবনযাত্রা দেখেন? অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন। একটি প্যান্ট, শার্ট ও স্যান্ডেল। জীবন সায়াহ্নে এসেও মানুষের জন্য কিছু করার অদম্য বাসনা। সপ্তাহে দুইবার তার কিডনি ডায়ালিসিস করাতে হয়। এই বয়সে এই শরীর নিয়ে তাকে এতো ধকল সহ্য করতে হয়।
জাহানারা ইমাম তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’র ১৬১-১৬২ পৃষ্ঠায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে লিখেছেনÑ ‘চেনা হয়ে উঠেছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এমএ মোবিন। তারা দুজনে ইংল্যান্ডে এফআরসিএস পড়ছিলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিলেতে চার বছর হাড়ভাঙা খাটুনির পর যখন এফআরসিএস পরীক্ষা মাত্র এক সপ্তাহ পরে, তখনই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু। ছেলে দুটি পরীক্ষা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আন্দোলনে অংশ নিলো, পাকিস্তানি নাগরিকত্ব বর্জন করলো, ভারতীয় ট্রাভেল পারমিট যোগাড় করে দিল্লিগামী প্লেনে চড়ে বসলো। উদ্দেশ্য ওখান থেকে কলকাতা হয়ে রণাঙ্গনে যাওয়া। প্লেনটা ছিলো সিরিয়ান এয়ারলাইন্স-এর। দামাস্কাসে পাঁচ ঘণ্টা প্লেন লেট, সবযাত্রী নেমেছে। ওরা দুইজন আর প্লেন থেকে নামে না। ভাগ্যিস নামেনি। এয়ারপোর্টে এক পাকিস্তানি কর্নেল উপস্থিত ছিলো ওই দুইজন ‘পলাতক পাকিস্তানি নাগরিককে’ গ্রেপ্তার করার জন্য। প্লেনের মধ্য থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। কারণ প্লেন হলো ইন্টারন্যাশনাল জোন। দামাস্কাসে সিরিয়ান এয়ারপোর্ট কর্মকর্তা ওদের দুইজনকে জানিয়েছিলোÑ ওদের জন্যই প্লেন পাঁচ ঘণ্টা লেট। এমনিভাবে ওরা বিপদের ভেতর দিয়ে শেষ পর্যন্ত মে মাসের শেষাশেষি সেক্টর টু রণাঙ্গনে গিয়ে হাজির হয়েছেন।’
(তথ্য : কাফি কামাল- কে এই জাফরুল্লাহ চৌধুরী)
গণস্বাস্থ্যের টেস্ট কিট নিয়ে আমার কোনো বায়াসনেস নাই। তবে সরকারের আচরণ আমাকে এবং মনে হয় আমার মতো অন্য অনেককে বায়াসড বানিয়ে ফেলেছে। ঐবৎব, ঃযব ড়হঁং রং ড়হ ঃযব মড়াবৎহসবহঃ ঃড় ঢ়ৎড়াব. একদম সোজাসাপ্টা কথা যেইটা গণস্বাস্থ্যের একজনও বলেছেন। কথাটা কি? সরকারের পিসিআর টেস্ট আছে। এখন ১০০টা স্যাম্পল নিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট দিয়ে পরীক্ষা করাক এবং একই সাথে পিসিআর দিয়েও করাক, তারপর মিলিয়ে দেখে একটি সিদ্ধান্ত নিক। এখানে ট্রেডঅফ এনালাইসিস করা উচিত। ব্যয়বহুল বর্তমান পিসিআর টেস্টকিটের অধিক কার্যকারিতা, বেশি সময় এবং যোগানের স্বল্পতাকে আমলে নিয়ে গণস্বাস্থ্যের ২০০ টাকার টেস্টকিটের কম কার্যকারিতা, কম সময়, স্বল্প মূল্য এবং অধিক যোগানের ব্যাপারটা কিন্তু আমলে নিতে হবে। এরপর দিন শেষে লাভের পাল্লা কোন দিকে যায় সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নিলেইতো লেটা চুকে গেলো। খালি একবার কল্পনা করুন এটি যদি গণস্বাস্থ্য না করে বেক্সিমকো করতো? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :