লিহান লিমা: [২] ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনেন্সিয়াল টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, বিশ্বের ১৪টি স্থানে করোনার ক্ষয়ক্ষতিতে মৃত্যুহারের পরিমাণ আনুষ্ঠানিক সমীক্ষার চাইতে ৬০ গুণ বেশি। ফিনেন্সিয়াল টাইমস, এক্সপ্রেস ইউকে
[৩] মৃত্যুহার সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা মহামারীকালীন এই ১৪টি দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। এই সংখ্যা করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক সময়ে ছিলো ৭৭ হাজারের চেয়ে কিছুটা বেশি।
[৪] যদি এই হার সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তবে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার নয়, ৩ লাখ ১৮ হাজার।
[৫] এই সমীক্ষা করতে ফিনেন্সিয়ার টাইমস ২০২০ সালের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই দেশগুলোর মৃত্যুহারের সংখ্যার সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একই সময়ের মৃত্যুহার পর্যালোচনা করে। এফটি জানিয়েছে, ১ লাখ ২২ হাজার মৃত্যুর সংখ্যা ওই স্থানগুলোর পূর্বের সময়ের স্বাভাবিক মৃত্যুহারের চাইতে ৫০ শতাংশ বেশি।
[৬] এফটি অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও অন্য ১৩টি স্থানের মৃত্যুহার পর্যালোচনা করে। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়, পূর্ববর্তী বছরের চাইতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এপ্রিলে বেলজিয়ামে মৃত্যুহার ৬০ শতাংশ, স্পেনে ৫১ শতাংশ, নেদারল্যান্ডে ৪২ শতাংশ ও ফ্রান্সে ৩৪ শতাংশ বেশি।
[৭] ইকুয়েডরের গায়ানায় ১ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোভিড-১৯জনিত মৃত্যু আনুষ্ঠানিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২৪৫। কিন্তু তথ্য বলছে এই সময়ে দেশটিতে গত বছরের চাইতে ১০ হাজার ২০০ জন বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৫০ শতাংশ বেশি। করোনার এপিসেন্টার চীনের উহানে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ বেশি।
[৮] কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডেভিড স্পিগেহায়টা বলেন, ‘ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যুহার বাস্তবের চাইতে অনেক কম। কারণ এখানে শুধুমাত্র হাসপাতালে হওয়া মৃত্যুই গণণা করা হচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :