রাজু আলাউদ্দিন : [২] সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। আর তাই বাইরে থেকে কেউ যাতে করোনা ভাইরাস বহন করে নিয়ে এসে জেলার মধ্যে ছড়াতে না পারেন সেজন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন।
[৩] যারা সাতক্ষীরার বাইরে থেকে কিংবা সাতক্ষীরা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরি করেন, তাদের যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাদেরকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় কোনো চেকপোস্ট ও পুলিশি টহলে পড়লে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণাও দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। জেলার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোষ্টসহ কড়া নজরদারী।
[৪] সোমবার সকালে তালা উপজেলার সুভাষিনী এলাকায় জেলার প্রবেশদ্বারের পুলিশি চেকপোস্টে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, হাসান নামের একজন মেডিকেল টেকনোশিয়ানকে খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় আসার পথে বাধা দেয়া হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় তারা প্রতিদিন খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় কর্মস্থলে আসেন। পরে তাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাদেরকে দ্রুত খুলনায় ফেরত পাঠানো হয়। অপর একজন স্বাস্থ্যকর্মী শ্যামনগর থেকে তার কর্মস্থল রুপসা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তাকেও একই ভাবে ফেরত পাঠানো হয়। একই সাথে তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি মোটরযানের নামে মামলা দেয়া হয়।
[৫] সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা সিভিল সার্জনকে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
[৬] এদিকে, পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের বেশ কয়েকজন খুলনা এবং সাতক্ষীরায় কাজ করে থাকেন। তারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করলে স্বস্ব কর্মস্থলের বাইরে আসতে পারবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বলাও হয়েছে।
[৭] সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সবাইকে স্ব-স্ব কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :