মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলছে সাধারণ ছুটি। এ সময়ে অন্যান্য অফিসের ন্যায় বন্ধ রয়েছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সব অফিস। ফলে কেউ কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। এতে করে গ্রাহকরা সমস্যা পড়েছে।
[৩] গত ২৩ এপ্রিল সব অফিস খোলার বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর। সরকারে এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে এতে করে সরকারের কাছে কিছু নগদ অর্থ চলে আসার পথ তৈরি হবে।
[৪] সার্কুলারে বলা হয়, ম্যানুয়াল ও অনলাইন উভয় পদ্ধতিতে ইস্যুকৃত সঞ্চয়পত্রের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন সকল জেলা সঞ্চয় অফিস, ব্যুরো এবং জাতীয় সঞ্চয় বিশেষ ব্যুরোসমূহ সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে সপ্তাহে দুই দিন অর্থাৎ প্রত্যেক বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
[৫] আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছুটি সংক্রান্ত সর্বশেষ আদেশের নির্দেশনা অনুসরণে ওই সময়ে কর্মকর্তারা করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় সঞ্চয় বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালকরা বিষয়টি তদারকি করবেন।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিস, বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদফতরের অফিস এবং ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। আগে সঞ্চয় অধিদফতর থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সঞ্চয় কুপন ইস্যু করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হতো। সেই কুপনের আলোকে সুদ ও আসল পরিশোধসহ সব হতো অধিদফতরের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে।
আপনার মতামত লিখুন :