আব্দুল্লাহ মামুন: [২] বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভর্তি ও পরীক্ষা নিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে সেই নিষেধ অমান্য করে নতুন সেমিস্টার শুরুর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এটি আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। গত ২৪ এপ্রিল এর নোটিশে উল্লেখ্য আছে যে, ২৫ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রি-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর, ২রা মে থেকে ৭ মে এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হবে এবং ৯ মে থেকে ক্লাস শুরু করবে।
[৩] তবে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মত বিনিময়কালে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন।
[৪] তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু এই বিষয় বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ তবে শিক্ষার্থীদের এখন পড়াশোনার আগ্রহ আছে কিনা এই বিষয় জানেত প্রি-রেজিস্ট্রেশনের কথা বলা হয়েছে। এটা একধরনের সার্ভে। আমরা শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যই এই রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করেছি।
[৫] এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের অভিভাবকে কি জবাব দিব। এজন্য সকল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এই সার্ভে । এছাড়া ইউজিসি আমাদের কাছে তথ্য চায় আমাদের কতজন ছাত্র ক্লাস করছে এই তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে এই রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক সকল বিষয় মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
[৬] তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আনলাইনে ক্লাস করছি তবে পড়াশোনা বুঝতে সমস্যা হয় কারণ আমরা অবস্থ না ও ইনটারনেট সমস্যা আছে যারা গ্রামে থাকে। এরপরও বিশ্ববিদ্যাল এর প্রি-রেজিস্ট্রেশন ও নতুন সেমিস্টার শুরু নোটিশ আমাদের চাপ সৃষ্টি করছে। তবে বর্তমান অবস্থা শিথীল হলে আমরা ক্লাসে এসে পড়াশোনা করতে চাই ও ঈদের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা মানসিক এবং আর্থীকভাবে উপকৃত হবো। যদিও করোনা পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে।
[৬] সার্বিক বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করার বিষয়ে আমরা কোন নির্দেশনা দেইনি। শুধু চলতি সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে নিতে বলেছি। নতুন সেমিস্টারের ক্লাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে নেয়া যাবে না। তিনি বলেন, সবাই এখন আতঙ্কে আছে। শিক্ষার্থীরা বাঁচলে তবেই তো ক্লাস করবে। তারাই যদি না বাঁচে, তাহলে ক্লাস করবে কারা? দেশের এমন পরিস্থিতিতেও যারা এমন মনোভাব পোষণ করছে, তারা অমানবিক কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
আপনার মতামত লিখুন :