আইরিন ফাতেমা : [২] করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মাঝেই সাভার-আশুলিয়ায় চরম অব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি না মেনেই অধিক অংশ কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, ডিইপিজেড সহ প্রায় ৩শ’ কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে, শ্রমিকদের অভিযোগ জোর করে গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হলেও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেই। সময় টিভি

[৩] সাভার ও আশুলিয়ায় প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সকাল থেকে শতাধিক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতেই গাদাগাদি করে কারখানাগুলোতে প্রবেশ করে শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

[৪] তবে কিছু কারখানাতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও বাস্তবে দেখা গেছে কয়েক হাজার শ্রমিকের জন্য এক লিটারের বোতলে কোনো রকমে হাতে ছোঁয়ানো হচ্ছে হ্যান্ড সেনিটাইজেশন। আবার দুই একটি কারখানায় বসানো হয়েছে বেসিন, যা হাত ধোয়ার জন্য অপ্রতুল।

[৫] একটি বেসিনে ৫০ জন গাদাগাদি করে গড়ে ৫ সেকেন্ড সময় পাচ্ছে শ্রমিকরা। ফলে দেখা গেছে, মালিক শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে কাজ করাচ্ছে শ্রমিকদের।

[৬] এছাড়া গাদাগাদি করে যানবাহনে চড়ে আর পায়ে হেঁটে হাজারো শ্রমিক সামাজিক দূরত্ব না মেনে প্রবেশ করেছে কারখানাগুলোতে। ফলে শ্রমিকদের বাসা থেকে কারখানা পর্যন্ত সর্বত্রই দেখা গেছে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়াবহতা।

[৭] সোমবার সকালে কাক ডাকা ভোরে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন শাখা সড়ক গুলোতে এভাবে দলেদলে বের হয়ে আসতে দেখা যায় হাজারো শ্রমিকদের।