রহিদুল খান : [২] উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। স্থানীয়রা বাঁধ দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করায় মাঠের পানি বের না হতে পেরে গত দুইদিনের বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে সিংহঝুলি ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মাঠের কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে যায়।
[৩] রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল বাদল, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাঁধ কেটে সরকারি খালে পানি বের করে ওই মাঠের কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান রক্ষা করা হয়।
[৪] স্থানীয়রা জানান, সিংহঝুলি ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে স্থানীয় কিছু লোক মাছ চাষ করেন। এই বাঁধের কারণে এবং ফুলসার খালের ব্রিজে পাটাবাঁধ দেওয়ায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশিত হয়ে সরকারি খালে যেতে বাধা পায়। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি বেরুনোর কোনো পথ না থাকায় ইউনিয়নের ৩-৪টি গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।
[৫] ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকরা এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কৃষকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম ওই মাঠে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তখনই বাঁধ কেটে পানি অপসারণ শুরু হয়। বাদবাকি বাঁধও কেটে ফেলার নির্দেশ দেন ইউএনও।
[৬] এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমির পাকা বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় কৃষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে গিয়ে ভেড়ি অপসারণ করে পানি বের করার ব্যবস্থা করা হয়। খুব দ্রুত খাল খননের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে।
[৭] সিংহঝুলি ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল বাদল বলেন, ভেড়ি দিয়ে তৈরি পুকুর মালিকদের সবচেয়ে কম ক্ষতি করে যেন কৃষকদের ধান বাঁচানো যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :