ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] লুটপাটের এক পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ধাওয়া খেয়ে স্ত্রীসহ পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। আবজাল দম্পতিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল সাহায্য চেয়েছিল দুদকের কাছে। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে আবজালসহ ৮ অর্থ পাচারকারীর একটি তালিকাও ইন্টারপোলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৩] ইন্টারপোল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও আবজালের বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। ইন্টারপোল থেকে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি এসেছে বলে জানা গেছে।
[৪] দুদক সূত্র জানায়, দুদকের পক্ষ থেকে তালিকাসহ চিঠি পাঠানোর পর ইন্টারপোল থেকে আংশিক জবাব এসেছে। সেখানে সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও আবজাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আদালত থেকে ইস্যু করা ওয়ারেন্টসহ সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে ইন্টারপোল। যা পাওয়ার পর ইন্টারপোল দুদককে আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
[৫] ২০১৯ সালের ২৭ জুন প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা পাচার এবং ৩৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ও মালামাল সরবরাহের নামে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৫ টাকা পাচার ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
[৬] এছাড়া অপর মামলায় স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি গোপনসহ মোট ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার টাকা এবং আবজালের বিরুদ্ধে মোট ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই বছর ২৬ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে সরকারের সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই দম্পতি ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে সংস্থাটি। এরই মধ্যে ২৫টি বাড়ি-প্লট ও জমি আদালতের আদেশে ক্রোক করেছে দুদক।
আপনার মতামত লিখুন :