লাইজুল ইসলাম : [২] সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলমাছ আলী খান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী এক জন চিকিৎসকের বিপরীতে পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা দরকার। যদিও বাংলাদেশে আছে প্রতি পাঁচজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন। যা জনসংখ্যার হিসেবে প্রতি ৩০ হাজার জনগণের জন্য একজন।
[৩] সভাপতি আলমাছ আলী খান বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদ আছে প্রায় আট হাজার। ২ হাজার ৭৩৬টি পদ এখনও খালি। কিন্তু আইনি জটিলতায় এগারো বছর ধরে নেই কোনো নতুন নিয়োগ।
[৪] আলমাছ আলী খান বলেন, এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কমিউনিট হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ও টিকাদান কর্মসূচির জনবল দিয়ে নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একদিনের প্রশিক্ষণেই কাজটি করবেন তারা। এই সিদ্ধান্ত হতে পারে আত্মঘাতী। ৭০ হাজার ডাক্তারের বিপরীতে সাড়ে তিন লাখ টেকনোলেজিস্ট দরকার হুয়ের নিয়ম অনুযায়। কিন্তু তা নেই।
[৫] বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজি পড়ুয়া শিক্ষার্থী এই মুহূর্তে বেকার। যাদের কাজে লাগানোর সুযোগ নিতে পারে সরকারে।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট মাহবুব হাসান বলেন, যারা এই বিষয়ে পড়াশুনা করেনি। যারা যানে না। তারা এই কাজে আসলে খুবই বিপদ হবে। যে বিপদ সামাল দেয়ার জন্য এই পধ্যতি সেই বিপদ আরো বাড়াবে।
[৭] কভিড নাইনটিনের কোনো ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগ শনাক্ত করে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখায় আপাতত সমাধান। রোগ শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজটি করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। তাই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের অগ্রসৈনিকদের অগ্রসৈনিক বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এরইমধ্যে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন।
[৮] বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সোহরাব হোসেন বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অবহেলা করে করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
আপনার মতামত লিখুন :