সাইদ রিপন : [২] বিশ্ব এক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মুখোমুখী হতে যাচ্ছে এজন্য বাংলাদেশকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।
[৩] বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম খান এ কথা বলেন। বর্তমানে এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক এবং এ কে খান টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
[৪] তিনি বলেন, বর্তমান সংকটে সব শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এমন সংকট মোকাবেলায় পৃথিবীর কোনো দেশই আগে থেকে প্রস্তুত ছিলো না। এজন্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সব দেশই নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে এবং দিবে। এটা কিছু মডিফাই করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও করোনার প্রভাব পড়েছে। রেমিট্যান্স, আমদানি-রপ্তানি, কনজামশন-ডিমান্ড সব জায়গায়ই ক্ষতির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় অচল অর্থনীতিকে সচল করতে পলিসি সাপোর্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
[৫] আবুল কাসেম বলেন, এ মহামারির প্রভাবে রেভিনিউ কালেকশন বন্ধ হয়ে গেছে, ট্যাক্স পেমেন্টের সময় চলে আসছে এবং কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীদের ছাটাইয়ে বাধ্য হচ্ছে। এই চারটা জায়গা চিহ্নিত করে আমরা শর্টটার্ম বাস্তবতা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সরকারকে একটি প্রস্তাব আকারে দিয়েছি। ট্যাক্স কালেকশনে কোয়ার্টালি সময় পেছাতে পারলে ভালো হবে। এটা করা হলে ব্যবসায়িদের হাতে টাকা থাকবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে। যেমন বলা হচ্ছে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ৩০ শতাংশ দেয়া হবে। সেটা আবার ব্যাংক ক্লাইন্ট রিলেশনশিপের ওপর ভিত্তি করে দেয়া উচিত। এমন কিছু শর্ত পুনবিন্যাস করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :