ইয়াসিন আরাফাত : [২] নতুন বিপত্তিটি দেখা দেয় নিউ ইয়র্ক শহরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শ ছিলো— করোনার চিকিৎসায় বাড়িতে ব্যবহৃত জীবাণুনাশক শরীরে ইনজেক্ট করা যেতে পারে। তার পরামর্শে আস্থা রেখে করোনা ঠেকাতে সত্যি সত্যিই লাইজল, ব্লিচিং ও অন্যান্য জীবাণুনাশক খেলেন শহরের ৩০ জন বাসিন্দা। এতে প্রায় জীবন যেতে বসেছিলো তাদের। নিউ ইয়র্ক ডেইলি, ডেইলি মিরর, ইউএস টুডে
[৩] জানা গেছে, ৩০ জনের মধ্যে ৯ জন ব্যবহার করেছেন লাইজল, ১০ জন ব্লিচিং এবং ১১ জন বাড়িতে রাখা সাধারণ জীবাণুনাশক। খাওয়ার কিছু পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। আতঙ্কিত ফোন যেতে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা দপ্তরে। তাদের জরুরী চিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে যান সকলেই। কাউকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়নি।
[৪] বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সের দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিজ্ঞানী বলেন, রোদ লাগলে দু মিনিটে করোনা ভাইরাস মরে যাবে। তখনই ট্রাম্প প্রস্তাব করেন জীবাণুনাশক ব্লিচিং এবং আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, করোনা রোগীর দেহে ইঞ্জেকশন হিসাবে দেয়া যেতেই পারে।
[৫] ট্রাম্পের যুক্তি ছিলো, তিনি এমন প্রস্তাব দিচ্ছেন কারণ, হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগের টেকনোলজি ডিরেক্টরেটের প্রধান বিল ব্রিয়ান বলেছেন, ব্লিচিং ৫ মিনিটে এবং অ্যালকোহল ৩০ সেকেন্ডে ভাইরাস মারতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরও বলে ছিলেন, যদি পরিষ্কার করার জীবাণুনাশক একবার ফুসফুসে পৌঁছে দেয়া যায়, তাহলে দারুণ কাজ করবে।
[৬] প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যে নানা মহলে শুরু হয় হাসিঠাট্টা। চাপে পড়ে ট্রাম্প দাবি করেন, নেহাত ঠাট্টা করার জন্যই তিনি এসব বলেছেন। বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই হাসির খোরাক হয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিউ ইয়র্কবাসীদের কেউ কেউ ব্যাপারটাকে নিয়েছেন বেশ গুরুত্ব দিয়েই। করোনা থেকে রেহাই পাওয়ার আশায় তারা কেউ নিয়েছেন লাইজল, কেউ ব্লিচিং বা ওই ধরনের জীবাণুনাশক।
আপনার মতামত লিখুন :