মাজহারুল ইসলাম : [২] গত ২২ এপ্রিল একজন কারারক্ষীর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপর আক্রান্ত কারারক্ষীর রুমমেটসহ আর ৫জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। আক্রান্ত কারাবন্দি থেকে কারারক্ষীদের মধ্যে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন কারা চিকিৎসকরা।
[৩] কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, আক্রান্ত ৭জনকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ডেডিকেটেড ২টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যাদের মধ্যে এ ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
[৪] কারা অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, কারারক্ষীরা ঢামেক হাসপাতালে ডিউটি করার সময় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা থাকতেন ব্যারাকে, সেখানেও ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুরো ব্যারাকটি লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে ব্যারাকের পুরো ১০৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন যারা আছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
[৫] ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, কারা অধিদপ্তর সংলগ্ন একটি ব্যারাকে থাকা কারারক্ষীরা ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দিদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যারাকটিতে ১০৮ জন কারারক্ষী থাকতেন। ব্যারাকের ষষ্ঠ তলায় যেসকল কারারক্ষী থাকতেন তাদের সরিয়ে অন্যত্র রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ৬জন কারারক্ষীর মধ্যে ২জনকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ২০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ডেডিকেটেড। বাকি ৪জনকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৬] কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মঞ্জুর হোসেন জানিয়েছেন, কারারক্ষী ও স্টাফসহ ৬২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। যাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের নমুনা দেখা দিচ্ছে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে কয়েকজনকে বকশি বাজারের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জে অব্যবহৃত মহিলা কারাগারের কক্ষে রাখা হয়েছে।
[৭] ডা. খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জের মহিলা কারাগারে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বহন করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোনও বন্দি চিকিৎসাধীন নেই। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কয়েকজন কারাবন্দি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব কারারক্ষী হাসপাতালে দায়িত্বপালন করছেন তাদের পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও মাস্ক দেয়া হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :