আহসান হাবিব : আমরা অধীর অপেক্ষায় ছিলাম কবে গণস্বাস্থ্যের কিট বাজারে আসবে। এসেছে, ২৪ এপ্রিলের খবর হচ্ছে কিট চমৎকার কাজও করছে। অনেক রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পরীক্ষার ফল খুবই ভালো, বলা হয়েছে পিসিআরে যেসব রোগীর ফল পজিটিভ এসেছে, এই কিটেও একই ফল এসেছে। গণস্বাস্থ্যের প্রধান ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন ‘ওয়ান্ডারফুল’। আমরা খুব খুশি হয়েছি এই সাফল্যে। কিন্তু একটা সংবাদে চোখ আটকে গেলোÑ এই কিট নাকি এন্টিবডি নয়, শনাক্ত করবে এন্টিজেন। তার মানে রক্তে যে ভাইরাস ঢুকবে এই কিট তা শনাক্ত করবে। বলে রাখি এন্টিজেন হচ্ছে এখানে করোনাভাইরাস স্বয়ং মানে যেকোনো বস্তু যা বাইরে থেকে শরীরে ঢুকে রোগ বাধাবার চেষ্টা করে। আমার কথা হচ্ছে এতোদিন শুনলাম গণস্বাস্থ্য এন্টিবডি শনাক্ত করার কিট আবিষ্কার করেছে, হঠাৎ এন্টিজেন এলো কোথা থেকে? আর এন্টিজেন কি রক্তে পাওয়া সহজ? যে ভাইরাস আক্রমণ করে তার কতো অংশ রক্তে যায়? রক্তে যাওয়াকে ভাইরেমিয়া বলে। গবেষণায় দেখা যায়, রক্তে জীবাণুর পরিমাণ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে, কিছু ভ্যারিয়েশন ছাড়া, তাও এটা কতোদিন পর রক্তে প্রবেশ করে এই নিয়ে সময়ের আছে রকমফের, তার উপর ফলাফল নিয়ে তো সমস্যা আছেই। ফলস পজিটিভ, ফলস নেগেটিভ ইত্যাদি। আরও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বৈজ্ঞানিক ঝামেলা আছে। আর এন্টিবডি শনাক্ত করা এর চেয়ে সহজ এবং খুব দ্রুত পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :