আমিনুর রহমান তাজ : নিয়োগপত্র নেই, বেতনের নিশ্চয়তা নেই এমনই অন্ধকার হাউজে আমাদের বসবাস। শুধু পরিচয়পত্রের সুবাদে টিকে থাকা এই পেশাটা আমাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। হাতে গোনা দুয়েকটি মিডিয়া ছাড়া অধিকাংশ মিডিয়ার অবস্থা দৈন্যদশায় গিয়ে ঠেকেছে। বেতনের হাহাকার প্রায় সব হাউজেই। এভাবে একটা পেশা কীভাবে টিকে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এদেশে যারা মিডিয়া হাউজ খোলেন তাদের আয়ের উৎসটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নিজের কালো ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য যে তারা মিডিয়া খোলার ব্যাপারে আগ্রহী হন তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কয়েক বছর মিডিয়া চালিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত হওয়ার পরই মিডিয়া হাউজগুলো দেন গুটিয়ে। মিডিয়া হাউজগুলোর ভেতরে এতো যে অব্যবস্থাপনা তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তথ্য মন্ত্রণালয়ের। বছরের পর বছর ওয়েজ বোর্ডের যে ঘোষণাগুলো মন্ত্রণালয় দেয় তার কোনো ইমপ্লিমেন্টশন সিংহভাগ মিডিয়া হাউজে নেই। এগুলোর তদারকিও করে না তারা। এর পাশাপাশি সরকারি বিজ্ঞাপন বরাদ্দ নিয়েও আছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। আছে পার্সেন্টেজের নানা কেচ্ছা। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশের মিডিয়া হাউজগুলোতে যে অনাচার চলে আসছে তার প্রতিকার না হওয়াটা দুঃজনক। প্রতিদিন সামাজিক মাধ্যমে মিডিয়া হাউজ বন্ধের ঘোষণা ও সহকর্মী সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির খবর আমাদের শুনতে হচ্ছে। এটা আমাদের কেবল আহতই করছে না, হৃদয়ে রক্তক্ষরণও ঘটাচ্ছে। দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে নির্বিকার। তারা পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েই খালাস। এসব সংগঠনের দুটি অংশ রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত। ফলে সার্বিকভাবে সংবাদকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেটা করা দরকার সেটা তারা করেন না। এসব নেতাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মালিকপক্ষের তাঁবেদারি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সাংবাদিকতা আগামীতে কতোটা বিকশিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সিনিয়র সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :