শরীফ শাওন : [২] আশপাশের এলাকা থেকে ময়মনসিংহ সদরে আসতে ১০ থেকে ১৫ টি যানবাহন পরিবর্তন করতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এরপরও কয়েক মাইল হেটে তারা ঢাকা আসার চেষ্টা করছেন। রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পোশাক শ্রমিকরা ফেরিতে করে দলবেধে ছুটে আসছেন।
[৩] শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারখানা চালু করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে যেতে না পারলে চাকরি থাকবে না। এছাড়াও বেতন ও বোনাস পাওয়া যাবে না। একারণে বাধ্য হয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
[৪] বিজিএমইএর সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ জানান, শুধুমাত্র কারখানার আশেপাশে থাকা কর্মীদের নিয়ে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চালু করা কারখানাগুলোতে শ্রমিকের উপস্থিতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন ধীরগতিতে কারখানাগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুর দুরান্তে যাওয়া কর্মীদের কারখানায় না আনতে মালিকদের বলা হয়েছে।
[৬] বিকেএমইএর সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতিম বলেন, সদস্য কারখানা মালিকদের প্রতি সংগঠনের নির্দেশ, দূর দূরান্ত থেকে কোনো শ্রমিক নিয়ে আসা যাবে না। যারা কারখানার আশপাশে রয়েছে তাদেরকে দিয়েই ছোট পরিসরে কাজ শুরু করতে হবে। কারখানাগুলোতে ৩০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি বাড়ানো যাবে না। অনুপস্থিতির জন্য কারও চাকরিও যাবে না।
[৭] তিনি বলেন, নিটিং, ডাইয়িং এবং স্যাম্পল শেকসনে কর্মরত লোকসংখ্যা খুব কম। তাই ২৬ এপ্রিল থেকে এগুলো চালু করা হয়েছে। ২ মে থেকে বাকি কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। তবে জরুরী কার্যাদেশ থাকলে, সল্প পরিসরে কারখানা খুলতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :