সমীরণ রায় : [২] কোভিড-১৯ মহামারি আতঙ্কে দেশজুড়ে চলমান লকডাউনে সব ছাপাখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে মুদ্রণ ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার মাসের বেতন পরিশোধে জন্য ২ শতাংশ হার সুদে স্ব-স্ব ব্যাণিজিক ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।
[৩] আবেদনে বলা হয়, সরকারের ঘোষিত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় তৈরি পোশাক শিল্পের মতো বাংলাদেশের মুদ্রণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন মাসের বেতন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতার সমপরিমাণ অর্থ ২ শতাংশ হার সুদে স্ব-স্ব ব্যাণিজিক ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কামনা করছি। একই সঙ্গে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঘোষিত ঋণ সহায়তা দেশের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রাপ্তিতে গতিশীল এবং সহজতর করার জন্য নির্দেশনা দাবি করে সমিতি।
[৪] এতে বলা হয়, দেশের প্রায় সাত হাজার মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান এবং এর ওপর নির্ভরশীল প্রায় পাঁচ লাখ কর্মজীবী আজ বেকার। দেশের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণ মালিকদের আর্থিক সামর্থ্য খুবই সীমিত। ফলে এই শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল-মে-জুন মাসের বেতন এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের উৎসবভাতা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
[৫] রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ আবেদন করা হয়।
[৬] বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত বলেন, বই প্রিন্টিং প্রেসগুলোতে দুই তিন মাসের বিলের বকেয়া থেকে যায়, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পার্টির কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায় না। বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :