শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লকডাউনে বগুড়ায় লুকোচুরি খেলা দেখে স্থানীয় প্রশাসন হতভম্ব

জিএম মিজান, বগুড়া প্রতিনিধি : [২] দেশে চারদিকে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। থমকে গেছে দেশ সংক্রমণক রোগ হওয়ায় এমন আশঙ্কা। করোনা প্রতিরোধে দেশের অধিকাংশ এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বগুড়ায় পাঁচ জন রোগী করোনা শনাক্ত হওয়ায় অত্র জেলা লকডাউন ঘোষণা করেন।

[৩] লকডাউন ঘোষনার পর থেকে জেলার সকল উপজেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলা একটু ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রম শুরু করেছেন জনসচেতনমূলক, প্রচার প্রচারণা পাশা-পাশি, করোন ভাইরাস বিস্তাররোধে সেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে তাদের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা, হোমকোয়রেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ব্যক্তিদের লাশ দাফন করা। অসহায় কর্মহীন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, মধ্যেবিত্তদের জন্য হটলাইন চালু করাসহ বিভিন্ন কার্য়ক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন।

[৪] এত কিছুর পরেও দেখা যাচ্ছে, অনেকে লকডাউন না মেনে বিনা প্রয়োজনে সাধারণ জনগণ হাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাফেরা করছেন। এতে ভাইরাস বিস্তার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন হতভম্ব। দেশে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ওয়াজ মাহফিলসহ যে কোনো ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও অনেকে সতর্কতা না মেনে একখানে জড়ো হয়ে আড্ডা দেয়। আপনারা সবাই বের হয়ে আসবেন আর সেখানে গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলে দোষ হয় স্থানীয় প্রশাসনের। পুলিশের অনেক সদস্য আজ আক্রান্ত। আপনাদের ধারনা কি ওসি, ইউএনও এদেরকে করোনা ধরবে না। কাউকে ছাড়বে না ইতিমধ্যে অনেককে ধরেছে।

[৫] আমাদেরকে ধরলে আর একজনকেও খুজে পাবেন না, যে আপনাকে বুঝাবে, যে ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন, নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান। এখন মানুষ চিকিৎসার জন্য পুলিশকে স্বরণ করে। যেখানে একজন মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে স্থানীয় নেতারা এলাকায় কবর পযর্ন্ত দিতে দেয় না বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু কেনো করোনায় আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে আপনি এত ভয় ,তাহলে করোনা থেকে বাচতে আপনি কোনো নিয়ম মানছেন না?। স্থানীয় প্রশাসন দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জনসাধারণকে নিয়ম মেনে ঘরে থাকার জন্য।

[৬] যে প্রশাসন নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে দিন-রাত জনসাধারণের জন্য মাঠে আছে। তার পরেও যত দোষ পুলিশ প্রশাসনের। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ,গাজীপুর থেকে কেউ আসলে তাদেরকে নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোমকোয়রেন্টাইনে থাকার জন্য আমরা এত করে বলার পরেও তারা অবাধে চলাফেরা করছে। আসুন আমরা শপথ করি বিনা প্রয়োজনে বাহিরে যাব না। নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি, অসহায়দের পাশে দাড়াই, নিজে বাঁচী অন্যকে বাঁচায়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়