ইমরুল শাহেদ : [২] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ২১ নভেম্বর সান ফ্রান্সিসকোর অধিবাসীরা হঠাৎ করেই রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের কারো মুখেই ফেস মাস্ক ছিল না। এর আগে স্প্যানিশ ফ্লুর বিস্তার রোধে বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে আজকের মতোই ফেস মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আপত্তি সত্তে¡ও সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই সবাই আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন। শুধু তাই নয়, তারা সিনেমা হলে এবং রেস্তোরাঁয়ও যেতে শুরু করেন। এর তিন সপ্তাহ পরই নেমে আসে নতুন ধস। বাড়তে শুরু করে ফ্লু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। এবিসিনিউজ
[৩] তারও ১০২ বছর পর ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা মহামারী। এই মহামারীর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহŸানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্য - জর্জিয়া, ওকলাহামা এবং আলাস্কা থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ৫৩ হাজার ৭শ’ ৫১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৩৮ হাজার।
[৪] বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে এই রাজ্যগুলোতে ১৯১৮ সালের সেই স্প্যানিশ ফ্লু মহমারীর পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে শিগগিরই। কারণ প্রতিটি রাজ্যেই প্রতিনিয়তই নতুন নতুন করোনাক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর দি হিস্টরি অব মেডিসিন’-এর সহকারী পরিচালক আলেক্স নাভারো বলেছেন, ১৯১৮-১৯ সালে ৪৩টি শহরে এই ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিল। আক্রান্ত হয়েছিল ২০ হাজার এবং মারা গেছে এক হাজারেরও বেশি লোক।
[৫] তিনি বলেছেন, ‘এসব শহরগুলো থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রচÐ চাপ ছিল। বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর, যা ঘটার তাই ঘটেছে।’ ক্যালিফোর্নিয়ার মেয়র লÐন নিকোল ব্রিড গত সপ্তাহে রাজ্যটির অতীত ইতিহাসের কথা মনে একটি নির্দেশ ইস্যু করেছেন। কাউকে ঘর থেকে বের হতে হলে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। কারণ এই রাজ্যটি অতীতে স্প্যনিশ ফ্লু ছাড়াও এইচআইবি/এইডস রোগ মোকাবেলা করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :