ইমরুল শাহেদ : [২] বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে যখন প্রাণ বাঁচানোর যুদ্ধ ছাড়া আর সব কিছুতেই নেমে এসেছে স্থবিরতা তখনো থেমে নেই চলচ্চিত্রশিল্পের অগ্রযাত্রা। মাত্র দু’দিন আগে নেটফ্লিক্স স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে এক্সট্রাকশন। অবশ্য হলিউডে মুক্তির জন্য প্রস্তুত কিছু চলচ্চিত্রের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে প্রায় এক থেকে দেড় বছর।
[৩] লকডাউনের মধ্যে রিলিজিং থিয়েটার বন্ধ থাকার কারণে এসব ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিগুলো মুক্তি দেওয়া না গেলে বিনিয়োগের অর্থ লাভসহ উঠে আসবে না। একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঢাকার চলচ্চিত্রেও। রিলিজের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বেশ কিছু ছবি। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে আসায় প্রযোজক পরিবেশকরাও থেমে গেছেন।
[৪] প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেছেন, ‘বর্তমান লকডাউনে সিনেমা হল বন্ধ থাকলেও কর্মচারিদের বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। বিদ্যুতের একটা মিনিমাম বিলও দিতে হচ্ছে। আয় নেই, কিন্তু ব্যয় হচ্ছে। সিনেমা হল মালিকরা দিবে কিভাবে? সিনেমা হল খাতে কোনো সরকারি প্রণোদনাও নেই। করোনাত্তোর যখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে তখন দেখা যাবে আরো কিছু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে। একবার যদি বন্ধ হয়, সেগুলো আর খুলবে না।’
[৫] তিনি জানান, সিনেমা হল ক্রমশই কমছে। বর্তমানে দেশে রিলিজিং থিয়েটার আছে মাত্র ৮৫টি। আরো ৫০টি আছে, যেখানে ছবি প্রদর্শিত হয় দ্বিতীয় সপ্তাহে। এভাবে চলতে থাকলে চলচ্চিত্রশিল্প টিকে থাকবে কিভাবে। সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবিগুলো কোথায় কখন রিলিজ হয় তা কেউ তেমন একটা জানেন না। এসব ছবির নির্মাতারা ছবি বানান পুরস্কারের জন্য। দর্শক সিনেমা হলে আনার জন্য নয়।
[৬] তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমাদের জন্য প্রয়োজন বাণিজ্যিক ছবি, যে ছবি দর্শক সিনেমা হলে আনবে।’ তার কথায় যে ইঙ্গিত রয়েছে তা থেকে বুঝা যায়, কোনো সুপারস্টার নয়, সুপার বাণিজ্যিক ছবি প্রয়োজন। তাহলেই হয়তো চলচ্চিত্রশিল্প বেঁচে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :