ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. এ কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের হাতে সেখানকার সেন্ট মাদার তেরেসা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মোছা. মুক্তা আক্তার তার গত দুই বছরের সঞ্চয়কৃত মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা দেশের অসহায় দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দেয়।
[৩] এসময় জেলা প্রশাসক আবেগআপ্লত হয়ে বলেন, ছোট্ট শিশুর মাটির ব্যংকে জমানো টাকা এভাবে অসহায় দরিদ্য মানুষের জন্য দেয়াটা আমি অনুকরনীয় বলে মনে করছি। তার কোমল হৃদয়ে যে বৈশ্বিক মহামারী করোনার বিষয়টি আঘাত করেছে এবং সে এ ক্রান্তিকালে গরীব অসহায়দের জন্য ভেবেছে এটাই বিশাল বড় পাওয়া। দেশের এই সংকটের মুহুর্তে স্কুল ছাত্রী মুক্তার এই অবদান দেশবাস সবসময় মনে রাখবেন। তিনি বলেন, ওই মাটির ব্যাংকে কী পরিমাণ টাকা রয়েছে তা আমরা আপাতত গুনে দেখিনি, মাটির ব্যাংক সহ প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করা হবে, এরপর ওখানে মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে গুনলে বুঝা যাবে কী পরিমাণ টাকা জমানো ছিল।
[৪] ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ ও গৃহিণী নাসিমা বেগমের একমাত্র শিশু কন্যা মুক্তা। এই সংকটে মেয়ের এমন দানে গর্বিত পিতামাতা।
[৫] স্কুল ছাত্রী মুক্তা জানায়, আমি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখেছি গরীব মানুষরা অসহায়ভাবে দিন যাপন করছেন। তারা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাই আমি আমার ২ বছরের টিফিনের জমানো টাকা ও বিভিন্ন সময় উপহারের জমানো টাকা ব্যাংক ভেঙ্গে গুনে দেখিনি পুরো জমানো টাকা মাটির ব্যাংক সহ গরীব মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দিলাম। ক্ষুদে স্কুল ছাত্রীর এমন অবদানে অভিভুত ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ। তারা বলছেন, এটি যেমন গর্বের তেমনি সমাজের বিত্তবানদের এ সংকময় মুহুর্তে অসহায় কর্মহীন মানুষজনের পাশে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান বলেই মনে করছি আমরা। এই শিশুর দেখানো পথে সমাজের নিম্নআয়ের মানুষজনদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :