মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এই সময়ে জরুরি সেবা প্রদানকারী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ হাতে গোনা কিছু পণ্য পরিবহন ছাড়া সব ধরণের পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে পণ্য পরিবহন ও বাজারজাত করে যাচ্ছে তামাকজাত কোম্পানিগুলো।
[৩] সাধারণ ছুটিতে কি ধরণের পরিবহন রাস্তায় চলাচল করতে পারবে তা জানিয়ে গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে পরিবহণের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া রয়েছে। তবে সেখানে তামাকজাত পণ্য পরিবহন বা বিপণনকাজে নিয়োজিত কোনো কর্মীর কথা উল্লেখ নেই।
[৪] করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, মহামারির এ সময়ে প্রশাসনের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালান করা উচিৎ। এ সময়ে কিভাবে সিগারেট কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য পরিবহন করছে? এটা হতে পারে না। এ সব পণ্যের পরিবহন ও বাজারজাত বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
[৫] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটিতে লকডাউন এলাকায় তামাকজাত পণ্য পরিবহণ ও বাজারজাত করছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। ফলে এ কাজে নিয়োজিত লোকজন করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই সঙ্গে তামাকজাত পণ্য সেবনকারীরা প্রতিনিয়ত এ কাজের জন্য ঘর থেকে বের হচ্ছে। এতে করে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে করোনা সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
[৬] তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে তামাক ব্যবহারকারীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বর্তমানে দেশে তামাকজাত পণ্য সেবনকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ, যারা প্রত্যকেই মারাত্মকভাবে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠিকে মৃত্যুঝুঁকিতে রেখে করোনা সংকট মোকাবিলা অসম্ভব।
[৭] সংগঠনটি বলছেন, করোনা যুদ্ধে সাফল্য অর্জন করতে হলে সরকারের উচিৎ হবে এখনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ন্যায় প্রকার তামাকপণ্যের বিপণন ও বিক্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা।
আপনার মতামত লিখুন :