ড. নাজনীন আহমেদ : আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি ঠিক বুঝলাম না, করোনা আক্রান্ত হলেই কেন লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে? এই মুহূর্তে দরকার সার্বিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসুবিধা উন্নত করা, যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন তাদের জন্য দরকার পর্যাপ্ত পিপিই এবং অন্যান্য সুরক্ষা উপকরণ। যারা বাইরে কাজ করছেন সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীতে বরং অর্থ আরও দরকার। যারা আক্রান্ত হবেন, বিনা খরচে তাদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবারকে অর্থ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু শুধু আক্রান্ত হওয়ার জন্য অর্থ দেওয়ার কোনো মানে নেই। কেউ কেউ অর্থ সুবিধার জন্য আক্রান্ত হওয়ার মিথ্যা সার্টিফিকেট নিতে পারেন।
আবার আমরা সবাই জানি ৮০ শতাংশ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড় রকমের শারীরিক লক্ষণ থাকে না। তাহলে কোনো রকমের উপসর্গ ছাড়াই ১৫ দিন ঘরে বসে থাকার জন্য লাখ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ কতোটা যুক্তিসঙ্গত, ভেবে দেখা দরকার। এই মুহূর্তে আমাদের সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাটাই সমীচীন। আমার এই স্ট্যাটাসে কেউ ভুল বুঝবেন না। আমি শুধু বলতে চাইছি, আমাদের ফ্রন্টলাইনেরর যোদ্ধাদের জন্য বড় দরকার স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুধু শুধু অসুস্থ হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ না দিয়ে কেবল মৃত্যু হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ রাখাটাই সমীচীন মনে করি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :