তিমির চক্রবর্ত্তী: [২] দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের মধ্যে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মশক নিধনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন শুধু আমাদের জীবন দেয়াটা বাকি রয়েছে। এরপরও নগরবাসী নানারকম কথা বলছে, এতে আমাদের কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
[৩] তিনি আরও বলেন, মশকনিধন কর্মীদের যাতায়াতের সুব্যবস্থা নেই। পুলিশ তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। করোনাভাইরাস কারণে কর্মীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হচ্ছে। আমরা সর্বস্ব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছি, এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।
[৪] উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, কিছুদিন আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সভাপতিত্বে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি সভা হয়েছিল। ওই সভায় ঢাকা ওয়াসাকে তাদের খাল পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো খাল পরিষ্কার করেনি। এক্ষেত্রে সেখান থেকে মশার প্রজনন বাড়লে আমাদের কী করার আছে।
[৫] তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মিরপুর সাংবাদিক কলোনীর খলগুরো পরিস্কার করার পর এলাকাবাসী আবার আবর্জনা দিয়ে খালগুলো পূর্ণ করে ফেলেছে।
[৬] ওয়াসার পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন বলেন, খাল এবং ড্রেন পরিষ্কারের ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এখনও কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
[৭] মশার উপদ্রবে বাসায় থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে, রাজধানীর সব এলাকায় এরকম লাক্ষাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ঘনবসতি ও আবর্জনাপূর্ণ এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :