সুজন কৈরী : [২] করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৩ জনের দাফন ও সৎকার করেছেন নারায়ণঞ্জের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে তার মনে আতঙ্ক ছিল দাফন করতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনা পজিটিভ হয়েছেন কি না। এজন্য পরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ফলাফল পেয়ে আনন্দে উচ্ছাসিত তিনি।
[৩] সবাই আতঙ্কে থাকলেও কিছু মানুষ মরণঘাতী করোনা শনাক্তদের চিকিৎসায় দিনরাত কাজ করছেন। মরদেহ থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে এমন আতঙ্কে স্বজনরাও কাছে যান না। করোনায় মারা যাওয়াদের দাফন কাফন নিজেই করার ঘোষণা দিয়ে মাঠি নেমেছিলেন নারায়ণঞ্জের কাউন্সিলর খোরশেদ। তার নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে।
[৪] অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, দুইবার করোনার পরীক্ষা করেছেন। সবশেষ বুধবার টেস্ট করতে দিয়েছিলেন যার রেজাল্ট শুক্রবার পেয়েছেন। দুটি রিপোর্টেই তার নেগেটিভ এসেছে।
[৫] খোরশেদ বলেন, শুরু থেকেই আমি করোনা নিয়ে সক্রিয় ছিলাম ও এখনো আছি। প্রচুর রোগীর বাসায় গিয়েছি। তার মধ্যে অনেকে ছিল যাদের মধ্যে উপসর্গ ছিল, আবার কারো মৃত্যুর পর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। অনেকের পরিবারের লোকজনও ভয়ে মৃতদেহ ধরেনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি যথেষ্ট প্রটোকল পোশাক পরিহিত হয়েই কাজগুলো করতে। কিন্তু তার পরেও ঝুঁকি ছিল। সে কারণেই নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নিজ উদ্যোগেই আমার নমুনা সংগ্রহ করেছিল। দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি মনে করছি এ রিপোর্ট আমার কাজের গতি আরো বাড়াবে।
[৬] কাউন্সিলর বলেন, আমি প্রতিদিন নিয়মিত চার থেকে পাঁচবার গরম পানিতে গারগিল করতাম। নিয়ম করে প্রতিদিন একাধিকবার গরম পানির ভাপ নিয়েছি। সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সাথে আধা চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গারগিল করেছি। বিকালে আরেকবার করেছি। একইভাবে সকালে একবার এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গারগিল করেছি, রাতেও করেছি। ভিনেগার একটি এ্যাসিড, এতে জীবাণুর মৃত্যু ঘটে। একইভাবে গরম পানিতে লবণও কার্যকরী।
[৭] শনিবার বিকেলেও করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর মরদেহ দাফন করেন। তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজ ১ রমজান। আমাদের ৩০ তম দাফন। শনিবার একজন যার কোভিড-১৯ পজিটিভ বাদ জোহর তার দাফন সম্পন্ন করলাম।
আপনার মতামত লিখুন :