তন্নীমা আক্তার : [২] বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কঙ্গনা রানাউত ও তাঁর দিদি বোন রঙ্গোলি। কিছুদিন আগে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো এবং গণহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য তাঁর অ্যাকাউনন্টি নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। আর এবার আইনি বিপাকে জড়ালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

[৩] রঙ্গোলির অ্যাকাউন্ট টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই তাঁর হয়ে একটি ভিডিও করেন কঙ্গনা। সেই লম্বা ভিডিওয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম টুইটারকেই বন্ধ করার দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু সওয়াল করেছেন বলিউডের রিভলভার রানি। এর পরেই মুম্বাইয়ের আইনজীবী কাশিফ খান থানায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

[৪] সেই আইনজীবীর অভিযোগ, গণহত্যায় প্ররোচনা ও হিংসা ছড়ানোর জন্য বন্ধ বয়েছে রঙ্গোলি চন্দেলের টুইটার। কিন্তু তাতেও কোনও শিক্ষা হয়নি। বরং নিজের দিদির সমর্থনে কথা বলে ভিডিও করেছেন কঙ্গনা এবং সেখানেও একই ভাবে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলেছেন তিনি। এমনকী, দুই বোন টাকা ও খ্যাতির অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।

[৫]প্রসঙ্গত, রঙ্গোলির বিরুদ্ধে ধর্মীয় হিংসা ছড়়ানোর অভিযোগ এনেছিলেন পরিচালক রিমা কাটগি ও সুজান খান বোন ফারহা খান আলি। তার পরেই বাতিল হয় রঙ্গোলির অ্যাকাউন্ট। একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজেরে দিদির হয়ে সওয়াল করেছেন বলিউডের কুইন।

[৬] কঙ্গনা বলছেন, রঙ্গোলি বলেছিলেন যাঁরা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকে আক্রমণ করছে সেই আতঙ্কবাদীদের গুলি করে মারা উচিত। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে টুইটার বাতিল করেছে। কিন্তু এখানে কোথায় কোনও মুসলিমের কথা বলা হয়েছ। এরকম যদি কোথাও বলা হয়ে থাকে আমি ও রঙ্গোলি একসঙ্গে ক্ষমা চাইব। তা হলে কি রিমা ও ফারহাই বলতে চাইছেন যে সব মুসলিমরাই আতঙ্কবাদী। আমরা তা মনে করি না। আমরা বলছি না সব মুসলিম চিকিৎসকদের আক্রমণ করেছেন। সব মুসলিম পুলিশকর্মীদের উপর হামলা করছে।

কঙ্গনা বলছেন, টুইটার এই দেশ থেকে টাকা অর্জন করছে। আবার এই দেশেরই ক্ষতি করছে। টুইটার এমন একটি জায়গা যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরএসএস যারা সবসময়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তাদের আতঙ্কবাদী বলা যায়। কিন্তু যারা আতঙ্কবাদী তাদের আতঙ্কবাদী বলা যায় না। তাই টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্ম দেশে বন্ধ হওয়া উচিত।