মাজহারুল ইসলাম : [২] ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটিম রাইট অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটি (এফডিএসআর)এর যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।
[৩] ডা. চৌধুরী বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩, খুলনা বিভাগে ৮, বরিশাল বিভাগে ৮, সিলেট বিভাগে ৪ এবং রংপুর বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯০ জন নার্স করোনা আক্রান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ১১৪ জন সরকারি ও ৭৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়া ও টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য মেডিকেল স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
[৪] তবে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, তাদের হিসাবে ২০২ জন নার্স এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[৫] করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের সংখ্যা জানার পদ্ধতি সম্পর্কে ডা. চৌধুরী বলেন, আমাদের নিজস্ব সূত্র থেকে এগুলো জানতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে আমাদের এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে থাকেন। আর নার্সদের আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ সাধারণত তাদের সংগঠনগুলোর মাধ্যমে জেনে থাকি।
[৬] সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেসব হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্যে ডেডিকেটেড সেখানে চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য মেডিকেল স্টাফদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা কম। যেসব হাসপাতালে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তরা ভর্তি হয়েছেন, সেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে। নিম্নমানের সুরক্ষা সরঞ্জামের কারণে চিকিৎসক ও অন্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীদের তথ্য গোপন করার কারণেও চিকিৎসক, নার্স বা অন্যান্য মেডিকেল স্টাফরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
[৭] তিনি মনে করেন, যেসব চিকিৎসক বা মেডিকেল স্টাফ করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে রেড জোন থেকে বের হয়ে গ্রিন জোনে এসে অন্যদের সঙ্গে মিশছেন তারা যদি নিজেদের যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত না করে থাকেন তাহলে তাদের মাধ্যমেও তাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই হাসপাতালগুলোতে ডিজইনফেকশন করার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সম্পাদনা : আরাফাত
আপনার মতামত লিখুন :